essay on water in bengali

জল সংরক্ষণের গুরুত্ব এবং উপায় ~ Bengali Essay on Water Preservation

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য হল জল। জল এর নাম শুনলেই প্রথমেই মনে পরে ‘জলই জীবন’ এই কথাটি,যা একদম সত্যি। জল ছাড়া মানুষ হোক বা প্রাণী কারোরই জীবনধারণ সম্ভব নয়।রোজকার জীবনে নানা কারণে আমাদের জলের উপর নির্ভর করতে হয়।

রোজকার জীবনে হঠাৎ কোনো কারণে একদিন জল না পেলে বোঝা যায় জলের গুরুত্ব ।যেমন উদ্ভিদের বেঁচে থাকতেও জলের অবদান  অনস্বীকার্য তেমনই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ছোটো ছোটো বিষয়েও জলের উপর নির্ভর করতে হয়।  

পৃথিবীতে জল দুই প্রকার হয়, লবনাক্ত জল এবং মিষ্টি জল।সমুদ্রের জলকে ক্ষারযুক্ত এবং লবণাক্ত হওয়ায় একে লবনাক্ত জল বলে।দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর ক্ষেত্রেই জলের ব্যবহার দেখা যায়।  

★পানীয় জলের ব্যবহার 

মানুষ খাবার ছাড়া কয়েকদিন বাঁচলেও জল ছাড়া গড়ে তিনদিনের বেশি বাঁচে না। প্রাণীরাও জল ছাড়া বাঁচে না। প্রতিদিন কমের উপর দু লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন।শুধু পানীয় জলই নয় গৃহস্থালীর প্রায় সমস্ত কাজেই জলের ব্যবহার হয়।

রান্না হোক বা বাসন মাজা, কাপড় ধোয়া, স্নানের জন্য সর্ব ক্ষেত্রেই জলের ব্যবহার অপরিহার্য।পৃথিবীতে মোট জলের সবচেয়ে বেশি কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। এছাড়াও শিল্পক্ষেত্রে কারখানায় প্রচুর পরিমাণে জল ব্যবহার হয়।বিভিন্ন প্রকার শক্তি তেমন  তাপবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ গুলিতেও শক্তি উৎপাদনে প্রচুর পরিমান জলের প্রয়োজন হয়।

জল গুরুত্বপূর্ণ হলেও আজও অনেক ক্ষেত্রে জলের অপচয় দেখা যায়।বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই জানিয়েছেন মানুষের ব্যবহারযোগ্য জলের উৎস একসময় শেষ হয়ে যেতে পারে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ জলসংকটে ভোগে। সকলের তাই উচিত জলের অপচয় বন্ধ করে জল সংরক্ষণ করা।প্রয়োজন ছাড়া জলের অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নজর রাখতে হবে যাতে বাড়ি অথবা রাস্তার পানীয় জলের কল খোলা না থাকে। 

বিশ্বে বর্তমানে জল সংকটের পাশাপাশি জলদূষণও গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা।জল দূষণের কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হল কলকারখানা থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ  জলে মেশা, বিভিন্ন বর্জ্য জল মেশা এবং আরও নানান কিছু।দূষিত জল ব্যবহারের ফলে জল বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ।বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে জলদূষণ এবং জলের অত্যধিক অপচয়ের ফলে  অনেক দেশেই জলের সংকট দেখা যাচ্ছে।

★শরীর সুস্থ রাখতে জলের  প্রয়োজনীয়তা –  

বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা বা রাখা।হঠাৎ বেশ খানিকটা ওজন বেড়ে গেলেই চিন্তিত হয়ে পড়েন মহিলা বা পুরুষরা৷ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ।আপনিও যদি ওজন ঠিক রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করুন। জল কম খেলে শরীরে নানা রোগ হয়, আর পর্যাপ্ত জল খেকে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ খিদে পাওয়া এসব আর হবে না। জল ক্যালোরি শূন্য হওয়ায়  দেহের মেটাবলিসম বৃদ্ধি পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।  

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-  

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি পাওয়ার ভালো থাকলে সহজেই যে কোনো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, আর ইমিউনিটি পাওয়ার যদি ভালো না হয় তাহলে যে কোনও অসুখও খুব সহজেই  জাকিয়ে বসে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা আবশ্যক । 

ত্বক ভালো রাখে-  

ত্বকের যত্ন নিতে অনেকে হাজার রকম ক্রিম ব্যবহার করেন, তবুও ব্রণ, দাগ এসব থেকে রেহাই পান না। সারা দিনে কমপক্ষে ২লিটার জল পান করতে  স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তা আপনার ত্বককেও ভালো রাখে। 

যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে – 

বর্তমান সময়ে ফোন, ককম্পিউটারের সামনে বসে পড়াশোনা বা কাজ করার অনেক বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন  কম্পিউটারের সামনে  বসে কাজ কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় হাতে বা পিঠে ব্যাথা হয়। যারা প্রচন্ড কম পরিমাণ জল খান তাদের এই সমস্ত ব্যাথা অনেক বেশি হয়  তাই কাজের ফাকে অবশ্যই জল খান। তাহলে এসব ব্যাথাকে সহজেই আপনি হারাতে পারবেন।

এছাড়াও জল শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে,  হজম ক্ষমতা বাড়াতে,  টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। তবে জল খাওয়া কি কারণে জরুরি তা যেমন জানা হল তেমনি ঠিক কোন সময় জল খাওয়া উচিত তাও মাথায় রাখতে হবে।

কোন সময় জল খাওয়া উচিত

• সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে এক গ্লাস জল খেলে শরীরের  ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়।   
• যখনই কিছু খাবেন অবশ্যই তার আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। তাহলে অতিরিক্ত খাওয়ার না খেয়ে নির্দিষ্ট পরিমান খাওয়ারই খাবেন।    
• যখনই খিদে পাবে এক গ্লাস জল খেয়ে নেবেন তাহলে বোঝা যাবে আসলে সেটা খিদে না তেষ্টা, অনেক সময় তেষ্টা লাগলেও আমরা ভাবি খিদে।  
• যখন ওয়ার্কআউট করবেন তার আগে এবং পরে ২ গ্লাস জল অবশ্যই খান তাহলে বজায় থাকবে শরীরের ফ্ল‌ুইড ব্যালান্স। 
• যখনই শরীর ক্লান্ত লাগবে তখন জল খান। শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাবে অনেক সময় ক্লান্তি ভাব আসে৷
• জলের নানাবিধ উপকারের কথা ভেবে এবং জলের অপরিসীম গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে জল সংকটের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তাই জলের অপচয় বন্ধ করে জল সঞ্চয়ের কথা আমাদের ভাবতে হবে।  
• দেশজুড়ে জল সংকটের কথা বিবেচনা করে  জলসংরক্ষণ ও সঞ্চয়ের জন্য প্রত্যেককেই খেয়াল রাখতে হবে। 

★ জল সংরক্ষণের উপায় 

অনেকেই বাড়িতে বা ছাদে বাগান করেন, তাদের গাছে জল দেওয়ার জন্য বেশ অনেকটা জল প্রয়োজন হয়। চেষ্টা করুন গাছে সকাল এবং সন্ধ্যায় জল দেওয়ার। কারণ দুপুরের রোদে জল দিলে গাছেদেরও অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন হয়। তাই সকাল, সন্ধ্যে জল দিত, এতে জল সঞ্চয় হবে এবং গাছের বৃদ্ধিও ভালো হবে। 

অনেক সময় কোনো কাজে ব্যবহৃত জল খুব ভালোভাবেই অন্য কাজে ব্যবহার করা যায়, যা আমরা ফলে দি, অনেকে বোতলে বা গ্লাসে হাফ জল খেয়ে ফেলে দেন। ফেলে দেওয়া জল দিয়ে যে কোনো জিনিস পরিষ্কার, কিছু ধোয়া বা নানান কাজে ব্যবহার করে সেই জলকে কাজে লাগান, অপচয় করবেন না। 

অনেকেই স্নানের সময় শাওয়ারের ব্যবহার করেন, এতে জল অনেক বেশি খরচ হয়। বালতিতে জল ভরে সেই জল দিয়ে স্নান করলে জলের সাশ্রয় হয়।  বাথটবে স্নান করলেও প্রচুর জল খরচ হয়।  অযথা টয়লেটে  টিস্যু, সিগারেট, বা অন্যান্য বর্জ্যপদার্থ না ফেলে তা ডাস্টবিনে ফেলুন, এতেও অযথা জলের অপচয় বন্ধ হবে। 

যখন বাসন ধোবেন লক্ষ্য রাখবেন যাতে বেসিনের কল খোলা না থাকে। প্রয়োজন মতো জল নিয়ে তা বন্ধ করে দিতে হবে। 

গাড়ি ধোয়ার জন্য হোস পাইপের বদলে যেসব জল  পুনর্ব্যবহারযোগ্য তা ব্যবহার করলে জল অপচয় বন্ধ হবে।  

পাম্প চালানোর সময় তা ভর্তি হওয়ার একটু আগে বন্ধ করুন। অনেকেই জল পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে পাম্প বন্ধ করেন, এতে অনেক জলের অপচয় হয়। 

জলের সমস্ত কল মাঝে মাঝেই ভালো করে চেক করে নেবেন, অনেক সময় জলের লাইনে কোথাও ‘লিক’ থাকলে অযথা জলের অপচয় হয়ে যায়।

জল সংরক্ষণের অন্যতম উপায় হল বৃষ্টির জল সংরক্ষণ। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ  করে তা পরিশুদ্ধ করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। 

বৃষ্টির জল পরিশুদ্ধ করলে  তার গুণগত মান ভালো থাকে এবং সেই জল স্নান করার জন্য‌, শৌচালয়ে ব্যবহারের জন্য‌, জামা কাপড় ধোওয়ার জন্য‌,সেচের জন্য‌, পশুপালনের জন্য‌, বাগান পরিচর্যার জন্য ব্যবহার করা যায়। ভূগর্ভস্থ জল,  কর্পোরেশনের সরবরাহ করা জল ছাড়াও জল সংরক্ষণের অন্যতম একটি উৎস হল বৃষ্টির জল সংরক্ষণ। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করলে তা অনেকাংশে বন্যা রোধ করে,  মাটির উপরের স্তরের ক্ষয় কমায়।

Go to Generate Picture Page by Entering Your Email Address

If you provide your email then we will not ask you for email again.

• Create Photo 🤩

Editorial Desk

Recent Posts

শ্রী শ্রী পরমহংস যোগানন্দ এবং তার অনুপ্রেরণামূলক উক্তি, Sri Sri Paramahamsa Yogananda and his inspirational quotes in Bangla

একজন ভারতীয় আমেরিকান হিন্দু সন্ন্যাসী, বিশিষ্ট...

শ্রী শ্রী রবি শংকরের অনুপ্রেরণামূলক বাণী এবং উক্তি, Shri Shri Ravishankar motivational quotes and teachings in Bangla

শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর একজন বিশিষ্ট ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা এবং মানবতাবাদী।...

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা Pdf| Essay on Water Pollution in Bengali

আজ এই নিবন্ধে আমরা জল দূষণের উপর একটি প্রবন্ধ লিখব  ( জল দূষণের উপর রচনা)।  জল দূষণের উপর এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য লেখা হয়েছে।

Table of Contents

আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য জল দূষণের উপর লেখা এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিষয়ে প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।

জল দূষণের প্রবন্ধ ( জল দূষণ রচনা)

বিশুদ্ধ পানি জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। মানবদেহে ওজনের ৬০ শতাংশ পানি থাকে। উদ্ভিদেও প্রচুর পানি পাওয়া যায়। কিছু গাছে 95 শতাংশ পর্যন্ত জল থাকে।

পৃথিবীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পাওয়া যায়, তবে স্বাদু পানির পরিমাণ মাত্র 2 থেকে 7 শতাংশ, বাকিটা সমুদ্রের লবণাক্ত পানির আকারে। এই স্বাদু পানির তিন-চতুর্থাংশ হিমবাহ এবং তুষারময় শৃঙ্গের আকারে। বাকি এক-চতুর্থাংশ ভূপৃষ্ঠের পানির আকারে। পৃথিবীর মাত্র 0.3 শতাংশ জল পরিষ্কার এবং পরিষ্কার।

পানি দূষণ কি?

পানিতে এমন কোনো বিদেশী পদার্থের উপস্থিতি যা পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে এমনভাবে পরিবর্তন করে যে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় বা এর উপযোগিতা হ্রাস পায়, তাকে পানি দূষণ বলে।

পানি দূষণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয় উন্নত দেশগুলোতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পানীয় জলের PH 7 থেকে 8.5 এর মধ্যে হওয়া উচিত। জীবন পানির উপর নির্ভরশীল। মানুষ ও পশুপাখির পানীয় জলের উৎস হল নদী, হ্রদ, নলকূপ ইত্যাদি।

যদিও পানির স্ব-বিশুদ্ধ করার ক্ষমতা আছে, কিন্তু যখন বিশুদ্ধকরণের গতির চেয়ে বেশি দূষণ পানিতে পৌঁছায়, তখন পানি দূষণ ঘটতে শুরু করে। প্রাণীর মল, বিষাক্ত শিল্প রাসায়নিক, কৃষি বর্জ্য, তেল এবং তাপের মতো পদার্থ পানিতে মিশে গেলে এই সমস্যা শুরু হয়।

এসব কারণে আমাদের অধিকাংশ পানির উৎস যেমন হ্রদ, নদী, সাগর, ভূগর্ভস্থ পানির উৎসগুলো ধীরে ধীরে দূষিত হচ্ছে। দূষিত পানি মানুষ এবং অন্যান্য জীবের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

কিভাবে জল দূষণ ঘটবে?

বৃষ্টির পানিতে উপস্থিত গ্যাস ও ধূলিকণা মিশ্রিত হওয়ার কারণে যেখানেই জমা হয়, সেখানেই পানি দূষিত হয়। এছাড়া আগ্নেয়গিরি ইত্যাদিও এর কিছু কারণ। এমনকি কিছু বর্জ্য পদার্থ এতে মিশে গেলেও এই পানি নোংরা ও দূষিত হয়।

উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা দিন দিন তাদের জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করছে। ক্রমবর্ধমান শিল্প ইউনিটের কারণে, পরিষ্কার এবং ধোয়ার জন্য নতুন ডিটারজেন্ট বাজারে আসছে এবং তাদের ব্যবহারও দিন দিন বাড়ছে।

পেট্রোলের মতো পদার্থের ফুটো সমুদ্রের জল দূষণের একটি বড় কারণ। সমুদ্রপথে পেট্রোল আমদানি-রপ্তানি হয়। অনেক সময় এসব জাহাজে লিকেজ হয় বা কোনো কারণে জাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হয়, ডুবে যায় বা সমুদ্রে তেল ছিটকে পানি দূষিত হয়।

সমুদ্রের জলপথে খনিজ তেল বহনকারী জাহাজের দুর্ঘটনার কারণে বা জলের পৃষ্ঠে প্রচুর পরিমাণে তেল নির্গত হওয়ার কারণে জল দূষিত হয়। অ্যাসিড বৃষ্টির কারণে পানির সম্পদ দূষিত হয়, যার কারণে পানিতে বসবাসকারী জীবের মধ্যে মাছ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অ্যাসিড বৃষ্টির আরেকটি বিরূপ প্রভাব ক্ষয়ের আকারে দেখা যায়। এর কারণে, তামার তৈরি ড্রেনগুলি প্রভাবিত হয় এবং অ্যালুমিনিয়াম (আল) মাটিতে দ্রবীভূত হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, সীসা (Pb), ক্যাডমিয়াম (Cd) এবং পারদ (Hg)ও দ্রবীভূত হয়ে পানিকে বিষাক্ত করে তোলে।

মানুষ ও পশুপাখির মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। মৃতদেহের কারণে পানির তাপমাত্রাও বেড়ে যায়।

পানি দূষণ থেকে উদ্ভূত সমস্যা

যে জলের উৎসের জল এমনকি সামান্য দূষিত তার চারপাশে বসবাসকারী প্রতিটি জীবনের উপর কিছু পরিমাণে বিরূপ প্রভাব রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট স্তরে দূষিত পানিও ফসলের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। এতে জমির উর্বরতা কমে যায়।

সামগ্রিকভাবে, জল দূষণ কৃষি খাত এবং দেশকেও প্রভাবিত করে। সমুদ্রের পানি দূষিত হলে সামুদ্রিক জীবনের ওপরও এর খারাপ প্রভাব পড়ে। পানি দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ পানির গুণমান কমে যাওয়া। এটি খেলে অনেক ধরনের রোগ হতে পারে।

পানি দূষণের ভয়াবহ পরিণতি জাতির স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। একটি অনুমান অনুসারে, ভারতে যে রোগ হয় তার দুই-তৃতীয়াংশই দূষিত পানির কারণে হয়। জল দূষণ জল এবং জলে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

জল দূষণ সামুদ্রিক প্রাণীদের জন্যও মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনে। শিল্প-কারখানার দূষণকারী উপাদানের কারণে প্রচুর পরিমাণে মাছ মারা যাওয়া দেশের অনেক জায়গায় একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাছ মারা মানে প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস হারানো, এবং তার চেয়েও বেশি, ভারতের লক্ষ লক্ষ জেলেদের জীবিকা হারানো।

পানি দূষণের প্রভাব পড়ছে কৃষি জমিতেও। দূষিত পানি কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট করে যেখান দিয়ে যায়। যোধপুর, পালি এবং রাজস্থানের বড় শহরগুলির ডাইং এবং প্রিন্টিং শিল্প থেকে নির্গত দূষিত জল নদীতে মিশেছে এবং তীরে অবস্থিত গ্রামের উর্বর জমিগুলিকে ধ্বংস করছে।

শুধু তাই নয়, দূষিত পানি দিয়ে সেচ দিলে তা কৃষি উৎপাদনেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। এর কারণ হল যখন নোংরা ড্রেন এবং খাল থেকে নোংরা জল (দূষিত জল) দিয়ে সেচ করা হয়, তখন ধাতুর চিহ্নগুলি খাদ্য উত্পাদন চক্রে প্রবেশ করে। যার কারণে কৃষি উৎপাদন ১৭ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যায়।

এভাবে পানি দূষণের ফলে উল্লিখিত সমস্যাগুলোর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বলা যায় যে, দূষিত পানির কারণে ওই পানির উৎসের পুরো পানি ব্যবস্থাই বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে।

পানি দূষণের কারণে সৃষ্ট রোগ

পানি দূষণের কারণে সারা বিশ্বে অনেক ধরনের রোগ ও মানুষ মারা যাচ্ছে। এ কারণে প্রতিদিন আনুমানিক ১৪ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এটি মানুষ, পশু-পাখির স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর ফলে টাইফয়েড, জন্ডিস, কলেরা, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি রোগ হয়।

দূষিত পানি পান করলে চর্মরোগ, পেটের রোগ, জন্ডিস, কলেরা, ডায়রিয়া, বমি, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ হতে পারে। গ্রীষ্ম এবং বৃষ্টির দিনে তাদের সংঘটনের ঝুঁকি বেশি।

পানি দূষণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা

পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে নিষ্কাশনের জন্য স্থায়ী ড্রেনের কোনো ব্যবস্থা নেই, যার কারণে এর পানি বিশৃঙ্খলভাবে কোথাও গিয়ে নদী, খাল ইত্যাদির মতো উৎসে পৌঁছে যায়।

এজন্য সঠিকভাবে ড্রেন তৈরি এবং পানির উৎস থেকে দূরে রাখার কাজও করতে হবে। পয়ঃনিষ্কাশন, ঘরোয়া বর্জ্য এবং আবর্জনা বৈজ্ঞানিকভাবে পরিশীলিত উপায়ে নিষ্পত্তি করা উচিত।

দূষিত প্রবাহিত জলের চিকিত্সার পদ্ধতিগুলি নিয়ে ক্রমাগত গবেষণা হওয়া উচিত। নির্দিষ্ট বিষ এবং বিষাক্ত পদার্থ পরিস্রাবণ, অবক্ষেপণ এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপসারণ করতে হবে এবং বর্জ্য নদী ও অন্যান্য জলের উত্সের সাথে মিশ্রিত করতে হবে।

কাপড় ধোয়া, কূপ, পুকুর ও অন্যান্য পানির উৎসের ভেতরে প্রবেশ, পানি গ্রহণ, পশু-পাখি ও মানুষের গোসল করা এবং পাত্র পরিষ্কার করা নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং নিয়মগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত।

কূপ, পুকুর ও অন্যান্য পানির উৎস থেকে প্রাপ্ত পানি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পানি দূষণের কারণ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং প্রতিরোধের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

পরিবেশগত শিক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার চেতনা গড়ে তুলতে হবে। এই ধরনের মাছ জলের উত্সে পালন করা উচিত, যা জলজ আগাছা খায়।

কৃষি, মাঠ ও বাগানে কীটনাশক, বায়োসাইড এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ এবং সার ন্যূনতম ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। যাতে এসব পদার্থ পানির উৎসে না মিশে পানিকে কম দূষিত করে।

পুকুর এবং অন্যান্য জলের উত্স নিয়মিত পরীক্ষা/পরীক্ষা, পরিষ্কার এবং রক্ষা করা প্রয়োজন। সেচযোগ্য এলাকা ও ক্ষেতে অতিরিক্ত পানি, ক্ষারত্ব, লবণাক্ততা, অম্লতা ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য শুধুমাত্র সঠিক ধরনের পানি পরিশোধন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে অনুসরণ ও প্রয়োগ করতে হবে।

এই রচনাটিও পড়ুন-

ছাত্র এবং শিশুদের জন্য জল দূষণ উপর রচনা

জল দূষণের উপর 500+ শব্দের রচনা.

জল একটি গ্রহে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি আমাদের গ্রহ – পৃথিবীতে জীবনের সারাংশ। তবুও আপনি যদি কখনও আপনার শহরের আশেপাশে একটি নদী বা হ্রদ দেখেন তবে এটি আপনার কাছে স্পষ্ট হবে যে আমরা জল দূষণের একটি খুব গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। আসুন আমরা নিজেদেরকে জল এবং  জল দূষণ  সম্পর্কে শিক্ষিত করি । পৃথিবীর পৃষ্ঠের দুই-তৃতীয়াংশ পানি দ্বারা আবৃত , আপনার শরীরের ছিয়াত্তরটি নিখুঁত পানি দিয়ে গঠিত।

জল এবং জল চক্র

আপনি ইতিমধ্যে জানেন যে জল সর্বত্র এবং চারপাশে. যাইহোক, আমাদের পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জল রয়েছে। এটি কেবল তার রাজ্যগুলি পরিবর্তন করে এবং একটি চক্রীয় আদেশের মধ্য দিয়ে যায়, যা জল চক্র নামে পরিচিত। জল চক্র একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা প্রকৃতিতে অবিচ্ছিন্ন। এটি এমন একটি প্যাটার্ন যেখানে মহাসাগর, সমুদ্র, হ্রদ ইত্যাদির পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাষ্পে পরিণত হয়। এর পরে এটি ঘনীভূতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং অবশেষে বৃষ্টিপাত বা বৃষ্টি বা তুষার হিসাবে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

জল দূষণ কি?

জল দূষণ হল জলাশয়ের দূষণ (যেমন মহাসাগর, সমুদ্র, হ্রদ, নদী, জলজ এবং ভূগর্ভস্থ জল) সাধারণত মানুষের কার্যকলাপের কারণে ঘটে। জল দূষণ হল জলের ভৌত, রাসায়নিক বা জৈবিক বৈশিষ্ট্যের যে কোনও পরিবর্তন, ছোট বা বড় যা শেষ পর্যন্ত কোনও জীবের জন্য ক্ষতিকারক পরিণতির দিকে নিয়ে যায় । পানীয় জল, যাকে পানীয় জল বলা হয়, মানুষ এবং প্রাণীর ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

পানি দূষণের উৎস

• শিল্প বর্জ্য
• কীটনাশক এবং কীটনাশক
• ডিটারজেন্ট এবং সার

কিছু জল দূষণ সরাসরি উৎসের কারণে হয়, যেমন কারখানা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা, শোধনাগার ইত্যাদি, যা সরাসরি বর্জ্য এবং বিপজ্জনক উপজাতগুলিকে শোধন না করেই নিকটস্থ জলের উত্সে ছেড়ে দেয়। পরোক্ষ উত্সগুলির মধ্যে রয়েছে দূষণকারী যা ভূগর্ভস্থ জল বা মাটির মাধ্যমে বা অম্লীয় বৃষ্টির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে জলাশয়ে প্রবেশ করে।

পানি দূষণের প্রভাব

জল দূষণের প্রভাবগুলি হল:

রোগ:  মানুষের মধ্যে, যে কোনও উপায়ে দূষিত জল পান করা বা সেবন করা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর অনেক বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলে। এতে টাইফয়েড, কলেরা, হেপাটাইটিসসহ বিভিন্ন রোগ হয়।

ইকোসিস্টেম নির্মূল:  ইকোসিস্টেম অত্যন্ত গতিশীল এবং পরিবেশের ছোট পরিবর্তনেও সাড়া দেয়। ক্রমবর্ধমান জল দূষণ একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্রের পতন ঘটাতে পারে যদি তা নিয়ন্ত্রণ না করা হয়।

ইউট্রোফিকেশন:  জলাশয়ে রাসায়নিক জমা এবং আধান, শৈবালের বৃদ্ধিকে উত্সাহিত করে। শেত্তলাগুলি পুকুর বা হ্রদের উপরে একটি স্তর তৈরি করে। ব্যাকটেরিয়া এই শেত্তলাগুলিকে খায় এবং এই ঘটনাটি জলের দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস করে, যা সেখানকার জলজ জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে।

খাদ্য শৃঙ্খলের প্রভাব:  খাদ্য শৃঙ্খলে অশান্তি ঘটে যখন জলজ প্রাণী (মাছ, চিংড়ি, সামুদ্রিক ঘোড়া ইত্যাদি) পানিতে থাকা বিষাক্ত পদার্থ এবং দূষিত পদার্থ গ্রহণ করে এবং তারপরে মানুষ সেগুলি গ্রাস করে।

জল দূষণ প্রতিরোধ

বড় আকারের জল দূষণ রোধ করার সর্বোত্তম উপায় হল এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কমানোর চেষ্টা করা। এমন অনেক ছোট ছোট পরিবর্তন আছে যা আমরা এমন ভবিষ্যতের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি যেখানে পানির অভাব রয়েছে।

জল সংরক্ষণ করুন:  জল সংরক্ষণ করা আমাদের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত। জলের অপচয় বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা এবং আমরা এখন এই সমস্যাটি সম্পর্কে জেগে উঠছি। ঘরোয়াভাবে করা সাধারণ ছোট পরিবর্তনগুলি বিশাল পার্থক্য আনবে।

পয়ঃনিষ্কাশন শোধন:  জলাশয়ে ফেলার আগে বর্জ্য পদার্থ শোধন করলে তা বৃহৎ পরিসরে পানি দূষণ কমাতে সাহায্য করে। কৃষি বা অন্যান্য শিল্প এই বর্জ্য জলের বিষাক্ত বিষয়বস্তু হ্রাস করে পুনরায় ব্যবহার করতে পারে।

পরিবেশ বান্ধব পণ্যের ব্যবহার:  দ্রবণীয় পণ্য ব্যবহার করে যা দূষণকারী হতে পারে না, আমরা একটি পরিবারের দ্বারা সৃষ্ট জল দূষণের পরিমাণ কমাতে পারি।

জীবন শেষ পর্যন্ত পছন্দ সম্পর্কে এবং তাই জল দূষণ হয়. আমরা নর্দমা-জড়িত সৈকত, দূষিত নদী এবং মাছ যা পান করতে এবং খেতে বিষাক্ত তা নিয়ে বাঁচতে পারি না। এই পরিস্থিতিগুলি এড়াতে, আমরা পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি যাতে জলাশয়, গাছপালা, প্রাণী এবং এর উপর নির্ভরশীল মানুষ সুস্থ থাকে। জল দূষণ কমাতে সাহায্য করার জন্য আমরা ব্যক্তিগত বা দলবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, পরিবেশ বান্ধব ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে, ড্রেনে তেল না ঢালা, কীটনাশকের ব্যবহার কমানো ইত্যাদি। আমাদের নদী ও সমুদ্র পরিষ্কার রাখতে আমরা সম্প্রদায়গত পদক্ষেপও নিতে পারি। এবং আমরা জল দূষণের বিরুদ্ধে আইন পাস করার জন্য দেশ এবং মহাদেশ হিসাবে পদক্ষেপ নিতে পারি। একসাথে কাজ করে, আমরা জল দূষণকে একটি সমস্যা কমিয়ে দিতে পারি—এবং বিশ্বকে একটি ভাল জায়গা করে তুলতে পারি৷

রচনা No 3 জল দূষণের উপর প্রবন্ধ রচনা

জল দূষণের উপর রচনা (Essay on Water Pollution in Bengali)-  জল হল জীবন বা জল ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না, আমরা এই লাইনগুলি বহুবার শুনেছি, পড়েছি এবং জল দূষণের উপর একটি প্রবন্ধ লিখতে গিয়েও ব্যবহার করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা এই লাইনগুলোর প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরেছি কিনা প্রশ্ন হল। যদি বুঝে থাকেন, তবে কেন আজও ভারতে মাতৃরূপে পূজিত সবচেয়ে পবিত্র নদী গঙ্গা বা অন্যান্য নদী দূষিত হচ্ছে। যদি এই মহাবিশ্বের উদ্ভব হয় পানি থেকে এবং সমস্ত জীবই যদি বেঁচে থাকে শুধু পানি পান করে, তাহলে ভূগর্ভ থেকে পানির স্তর কমছে কেন? কেন নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পানীয়ের বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি না? জল প্রকৃতির সেই অমূল্য সম্পদ যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে রক্ষা ও ব্যবহার করতে হবে।

জল দূষণের উপর প্রবন্ধ

আপনি আমাদের এই পৃষ্ঠা থেকে জল দূষণের উপর প্রবন্ধ পড়তে পারেন।(জল দূষণ সম্পর্কিত রচনা), আপনি জল দূষণের ভূমিকা, জলের দূষণ, জল দূষণের কারণ, জল দূষণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, জল দূষণের সমাধান ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়াও, আমাদের জল দূষণ রচনা (জল দূষণ নিবন্ধ) এর সাহায্যে, শিক্ষার্থীরা স্কুল ও কলেজে অনুষ্ঠিত জল দূষণের রচনা ( জল দূষণ রচনা) প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং লেখার মাধ্যমে তাদের লেখার দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে। একটি সুন্দর রচনা। পারফর্ম করতে পারেন।  রচনায় জল প্রদ্যুষণ লেখার সময়, আপনি নীচে উল্লিখিত পয়েন্টগুলি থেকেও তথ্য পেতে পারেন।  আমাদের জল দূষণ এবং জল দূষণের উদ্দেশ্য হল জল দূষণ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। নীচে থেকে সহজ এবং সহজ শব্দে জল দূষণ ( জল প্রদুষণ) প্রবন্ধটি পড়ুন।

 জল দূষণ জল দূষণ রচনা | Water Pollution Essay in Bengali

জল দূষণের উপর প্রবন্ধ ভূমিকা.

একথা একেবারেই সত্য যে, পৃথিবীতে জল না থাকলে, জল ছাড়া পৃথিবীর সবকিছুই উজাড় হয়ে যাবে। পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে পানি হলো সেই অনন্য সম্পদ যা পান করে পৃথিবীর সকল প্রাণী, পশুপাখি, গাছপালা বেঁচে আছে। নদী, খাল, হ্রদ, হ্রদ এবং সমুদ্রের মতো প্রাকৃতিক জিনিসের সৌন্দর্যও জলের সাথে জীবন্ত। পানি না পেলে তাদের সৌন্দর্যের কোনো মানে থাকবে না। আমরা যদি তাদের সৌন্দর্য হারাতে না চাই, তাহলে সবার আগে আমাদের পানিকে দূষণমুক্ত করতে হবে। জল এই প্রকৃতির সুন্দর রূপ, যার দ্বারা শস্য, ফল, ফুল এবং বাগান ফুটে, মেঘ থেকে অমৃতের মতো বৃষ্টি আসে এবং শুধুমাত্র জল সংরক্ষণ এবং সংরক্ষণ করলেই আমরা তার সঠিক ব্যবহার করতে পারি। পানি দূষণের এই ক্রমবর্ধমান সমস্যার দিকে আমরা যদি সময়মতো নজর না দিই, তাহলে এমন একদিন আসবে যেদিন পুরো দেশই পানির সংকটে পড়বে।

পানি দূষণের অর্থ 

পানি দূষণের সমস্যা জানার আগে আমাদের জন্য পানি দূষণের অর্থ বোঝা খুবই জরুরি। নদী, হ্রদ, কূপ, পুকুর, সমুদ্র ইত্যাদি পানির বিভিন্ন উৎসে যখন দূষিত উপাদান এসে মিশে যায়, তখন সেই অবস্থাকে আমরা পানি দূষণ বলি। প্রাকৃতিক ও মানবিক কারণে এসব দূষিত ও বিষাক্ত উপাদান পানিতে প্রবেশ করে পানিকে দূষিত করে, যার কারণে পানি তার প্রাকৃতিক গুণাগুণ হারিয়ে ফেলে। সহজ কথায়, এটা বোঝা যায় যে আমরা যখন কোনো ধরনের বর্জ্য সরাসরি পানিতে ফেলি, তখন তা পানি দূষণের সৃষ্টি করে।

এখন আমরা জানি পানি দূষণ কি? এ ধরনের বিদেশী পদার্থ পানিতে মিশে পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে এমনভাবে পরিবর্তন করে যে পানি পানের উপযোগীও হয় না এবং আমাদের কোনো কাজে লাগে না। এই ধরনের জল আমাদের স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দূষিত পানির উপযোগিতা আগের তুলনায় কম হওয়ায় তা উপযোগী হয়ে পড়ে, একে আমরা পানি দূষণ বলি। জল দূষণের মতো গুরুতর সমস্যাগুলি বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলিতে দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পানীয় জলের PH মাত্রা 7 থেকে 8.5 এর মধ্যে হওয়া উচিত। যদি দেখা যায়, পানির স্ব-পরিষ্কার ক্ষমতা বেশি, কিন্তু যখন প্রয়োজনীয় পরিমাণের বেশি দূষণ পানিতে দ্রবীভূত হয়, তখন পানি দূষণ ঘটতে শুরু করে। জল দূষণ ঘটে যখন জলে প্রাণীর মল, বিষাক্ত শিল্প রাসায়নিক, বাসাবাড়ি এবং কারখানার বর্জ্য, কৃষি বর্জ্য, তেল এবং তাপের মতো পদার্থ মিশে যায়। এ কারণে আমাদের প্রাকৃতিক পানির উৎস যেমন হ্রদ, নদী, সাগর, ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ইত্যাদি দূষণের শিকার হচ্ছে, যা মানুষ ও অন্যান্য জীবের ওপর মারাত্মক ও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

জল দূষণের সংজ্ঞা 

বিভিন্ন চিন্তাবিদ ও বিজ্ঞানী তাদের নিজস্ব ভাষায় পানি দূষণের সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এবং তাদের মতামত উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি সংজ্ঞা নিম্নরূপ:

সি.এস. সাউথউইকের মতে,  “যখন প্রাকৃতিক পানির ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক বৈশিষ্ট্য মানুষের এবং প্রাকৃতিক ক্রিয়াকলাপের কারণে পরিবর্তিত হয়, তখন তাকে জল দূষণ বলে।”

প্রো. গিলপিনের মতে,  “মানুষের কার্যকলাপের কারণে যখন পানির ভৌত, জৈবিক ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের অবনতি ঘটতে থাকে, তখন তাকে পানি দূষণ বলে।”

জল দূষণের কারণে 

জল দূষণের দুটি প্রধান উত্স রয়েছে: 1. প্রাকৃতিক এবং 2. মানব।

• জল দূষণের প্রাকৃতিক উত্স-  জল দূষণ প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন কারণে ঘটে। খনিজ পদার্থ, গাছের পাতা, হিউমাস জাতীয় পদার্থ, মানুষ ও প্রাণীর মলমূত্র ও প্রস্রাব পানিতে মিশে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পানি দূষণ ঘটে। যখন কোনো মাটিতে পানি জমে এবং সেই মাটিতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন সেই খনিজগুলো পানিতে মিশে যায়, যাকে বলা হয় বিষাক্ত পদার্থ। যদি এইগুলি বেশি পরিমাণে ঘটে তবে এগুলি খুব মারাত্মক এবং বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। এ ছাড়া নিকেল, বেরিয়াম, বেরিলিয়াম, কোবাল্ট, মলিবডেনাম, টিন, ভ্যানাডিয়াম ইত্যাদি পদার্থও প্রাকৃতিকভাবে পানিতে অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়।
• পানি দূষণের মানব উৎস –  মানুষের বিভিন্ন কাজ বা কর্মকাণ্ডের কারণে আবর্জনা, নোংরা পানি এবং অন্যান্য ধরনের বর্জ্য পদার্থ পানিতে মিশে যায়। এসব পদার্থ মিশ্রিত হওয়ার কারণে পানি দূষিত হতে থাকে। এই ধরনের বর্জ্য পদার্থ বিভিন্ন আকারে তৈরি হয়, যেমন গার্হস্থ্য বর্জ্য, মানুষের মলমূত্র, শিল্প উপকরণ, কৃষি উপকরণ ইত্যাদি। প্রাকৃতিক উৎসের চেয়েও বেশি, মানুষের উৎসই পানি দূষণের প্রধান কারণ।

জল দূষণের প্রকার 

জল দূষণের তিনটি প্রধান ধরন রয়েছে যা আমরা দেখতে পাই, যার নাম নিম্নরূপ-

• দৈহিক জল দূষণ-  যখন দৈহিক জল দূষণ ঘটে, তখন এটি জলের গন্ধ, স্বাদ এবং তাপীয় বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটায়।
• রাসায়নিক জল দূষণ-  যখন রাসায়নিক জল দূষণ ঘটে, যার কারণে বিভিন্ন শিল্প এবং অন্যান্য উত্স থেকে রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশে যায়, যার কারণে রাসায়নিক জল দূষণ ঘটে।
• জৈবিক পানি দূষণ-  যখন বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী জীব পানিতে প্রবেশ করে এবং পানিকে এতটাই দূষিত করে যে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে তখন তাকে জৈবিক পানি দূষণ বলে।

জল দূষণের প্রভাব 

পানি দূষণের কারণে আমরা বিভিন্ন মারাত্মক পরিণতির সম্মুখীন হই। দূষিত পানি পান করলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। আগে দূষিত পানির কারণে শুধু গ্রামের মানুষই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতো, কিন্তু আজ পরিস্থিতি এমন যে, শহরগুলোও এতে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা যদি ভুল করেও দূষিত পানি ব্যবহার করি তাহলে তা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। শরীরের চামড়া ক্ষয় হতে থাকে, জিন সংক্রান্ত রোগ দেখা দিতে থাকে, ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হতে থাকে এবং কখনো কখনো তার মৃত্যু পর্যন্ত হয়।

পানি দূষণের প্রভাব শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখি ও বনজঙ্গলেও দেখা যাচ্ছে। পানিতে দূষিত উপাদানের উপস্থিতির কারণে প্রতি বছর পানিতে বসবাসকারী প্রাণী ও প্রাণীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পানিতে থাকা মাছ মারা যাওয়ায় জেলেদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের আয়ের উৎস হারিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পানি দূষণের কারণে কৃষকদের জীবন-জীবিকার ওপরও প্রভাব পড়ছে কারণ দূষিত পানির কারণে আবাদি জমি ধ্বংস হচ্ছে এবং বন উজাড় হচ্ছে, যা একটি মারাত্মক সমস্যা। দূষিত পানি যে কোনো ধরনের কৃষি জমির মধ্য দিয়ে গেলে সেই জমির উর্বরতা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দেয়। একবার কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেলে তাকে আবার উর্বর করা খুবই কঠিন। যদি একজন কৃষক তার ক্ষেতে দূষিত পানি দিয়ে সেচ দেয়, তাই এর কুফল তাকে তার কৃষিতে বহন করতে হচ্ছে। এর কারণ হল, যখন নোংরা পানি সেচের জন্য ব্যবহার করা হয়, তখন জমিতে এ ধরনের ধাতুর চিহ্ন পাওয়া যায় যা কৃষি উৎপাদনের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। পানি দূষণের কারণে পৃথিবীর সমগ্র চক্র নষ্ট হয়ে যায়।

জল দূষণ সমস্যা 

বর্তমানে পানি দূষণ সমস্যা আমাদের সামনে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী, পুকুর, খাল-বিলের পানি যে দিয়ে আমরা বেঁচে আছি তা আজ আমাদের মারাত্মক অসুস্থ করে তুলছে। গ্রাম ও শহরের কোটি কোটি মানুষ পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা যখনই সাগরে পারমাণবিক পরীক্ষা চালান, সেই পরীক্ষা থেকে সমুদ্রে এমন কণা ও পদার্থ পাওয়া যায় যা সামুদ্রিক প্রাণী, উদ্ভিদ ও আমাদের পরিবেশের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে পৃথিবীর পরিবেশ সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।

কলকারখানা ও বড় কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ, রাসায়নিক উপাদান এবং গরম পানি নদী বা সাগরে প্রবেশ করলে তা শুধু পানি দূষণই করে না, পরিবেশে তাপও সৃষ্টি করে। পরিবেশের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জীবজন্তু, উদ্ভিদ ও উদ্ভিদের সংখ্যা কমতে থাকে এবং এর ফলে জলজ পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হতে থাকে। এভাবেই যদি পানি দূষণ বাড়তে থাকে, তাহলে সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন পৃথিবীর মানুষকে বিশুদ্ধ পানির জন্য আকুল হয়ে উঠতে হবে। এমনকি সামান্য জল দূষণ আমাদের সকলের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।

আজকের আধুনিক যুগে, জল দূষণ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকে নয়, সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করছে। পানি দূষণের প্রভাব সমগ্র জাতির স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠছে। আমাদের দেশে যে রোগ হয় তার দুই-তৃতীয়াংশই দূষিত পানির কারণে হয়ে থাকে। পানি দূষণের প্রভাব তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, নবজাতক শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।

পানি দূষণের কারণে সৃষ্ট রোগ  

পানি দূষণের ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্বে দিন দিন নানা ধরনের রোগ ও মহামারী বাড়ছে। অনেক মারাত্মক ও বিপজ্জনক রোগ রয়েছে যার কারণে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এসব রোগ মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিকেও তাদের শিকারে পরিণত করছে। এগুলো তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পানি দূষণের ফলে সৃষ্ট রোগের মধ্যে রয়েছে টাইফয়েড, জন্ডিস, কলেরা, গ্যাস্ট্রিক, চর্মরোগ, পেটের রোগ, ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ইত্যাদি। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এসব রোগের বিস্তারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এই রোগগুলি এড়াতে, আপনাকে অবশ্যই নীচে উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলি অনুসরণ করতে হবে।

পানি দূষণ এড়ানোর উপায়

জল দূষণের সমস্যা এড়াতে এবং কমাতে, আমাদের অবশ্যই আমাদের নিজ নিজ স্তরে সমস্ত সম্ভাব্য ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে, যেমন:

• আমাদের বাড়িঘর ও রাস্তার ড্রেন-ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
• পানি নিষ্কাশনের জন্য কংক্রিটের ড্রেনের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
• জমে থাকা মল, গৃহস্থালির পদার্থ এবং আবর্জনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপসারণ করা উচিত।
• দূষিত পানি পরিষ্কার করার জন্য ক্রমাগত গবেষণা ও পরিবর্তন করতে হবে।
• নদী, কূপ, পুকুর ইত্যাদিতে কাপড় ধোয়া, পানি সংগ্রহের জন্য ভিতরে প্রবেশ, পশু গোসল করা, মানুষের গোসল করা, বাসনপত্র পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।  
• কূপ, পুকুর এবং অন্যান্য জলের উত্স থেকে প্রাপ্ত জলে সময়ে সময়ে এই জাতীয় ওষুধ যোগ করা উচিত যাতে এর উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়। 
• পানি দূষণের মতো সমস্যা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এর কারণ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে প্রতিটি তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
• জনগণকে পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত শিক্ষা দিতে হবে।
• সময়ে সময়ে, সরকারকে পুকুর, নদী, নালা ইত্যাদি এবং অন্যান্য জলের উত্সগুলি নিয়মিত পরিদর্শন, পরীক্ষা, পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষা করা উচিত।
• বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে পানি দূষণের ক্ষতি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করতে হবে।

পানি দূষণ সম্পূর্ণভাবে দূর করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়াও, জল দূষণ প্রতিরোধের জন্য কেন্দ্রীয় বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকার জল দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন, 1974-এর ধারা 3-এর অধীনে গঠিত। জল দূষণের গুরুতর সমস্যা এবং মারাত্মক পরিণতির কথা মাথায় রেখে, ভারত সরকার 1974 সালে জল দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিষ্ঠা করেছিল। এরপর ১৯৭৫ সালে আরেকটি পানি দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিষ্ঠিত হয়। পানি দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইনে সরকার সময়ে সময়ে অনেক সংশোধন ও পরিবর্তন করেছে, যার উদ্দেশ্য হল পানির গুণমান উন্নত করা এবং এটিকে উপযোগী করা।

উপসংহার 

পানি দূষণের সমস্যা যত দ্রুত বাড়ছে, পানি দূষণের বিরূপ প্রভাব ততই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পড়ছে। তাই এখন আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সর্বোচ্চ সংখ্যায় এগিয়ে আসতে হবে এবং পানি দূষণ দূর করতে কাজ করতে হবে। পানি দূষণ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে অবদান রাখা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব এবং অন্যকে পরিবর্তন করার আগে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।

জনপ্রিয় লাইন “জলই জীবন” নিম্নলিখিত কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে-

পানিই জীবন, পানি থেকে সৃষ্টির উৎপত্তি, পানিই সর্বনাশ, পানি পান করেই সকল জীব বেঁচে থাকে, পানিই জীবন।

শীতল স্পর্শ বিশুদ্ধ আনন্দ সব গন্ধহীন মিলিত শব্দ রূপ স্বাদ নিরাকার জল কঠিন গ্যাস তরল ত্রিগুণ সত্ত্ব রজ তমস্ সুখকর স্পর্শ মনোরম স্বাদ মধুর শব্দ দিব্য সুদর্শন। সকল প্রাণী পানি পান করে বেঁচে থাকে।জলই জীবন।

ভূ-পৃষ্ঠে জল, গভীর পাহাড়ে বরফের আকারে সাগর, বায়ুমণ্ডলে মেঘ, বায়ুমণ্ডলে জল বিচরণ আর সবকিছু ছাড়া পৃথিবীকে পাহারা দেওয়া, এ এক অনন্য সম্পদ। সকল জীব পানি পান করে বেঁচে থাকে।জলই জীবন।

নদী, খাল, কল, হ্রদ, হ্রদ, ভাপী, কূপ, পুকুর, স্রোত, জলপ্রপাত, প্রকৃতির সেরা সৌন্দর্য, গানের ধ্বনি, গানের শব্দ, সুন্দর জল, খাবার, পাতা, ফল, ফুল, সুন্দর বাগান। সকল জীব পানি পান করে বেঁচে থাকে।জলই জীবন।

মেঘেরা অমৃতের মতো জল নিয়ে আসে ঘরে-আঙিনায়, জমা রাখে না, তারপর প্রবাহিত হয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ঘুরে বেড়ায়, মনটা কত বোকা। সকল জীব পানি পান করে বেঁচে থাকে।জলই জীবন।

– শাস্ত্রী নিত্যগোপাল কাটারে

জল দূষণ সম্পর্কিত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন – প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

People also ask

প্রশ্ন- জল দূষণ কি?

উত্তর: বিষাক্ত পদার্থ ও দূষিত কণা হ্রদ, খাল, নদী, সাগর ও অন্যান্য পানির উৎসে প্রবেশ করলে পানি দূষিত হয়। এ ধরনের পদার্থ পানিতে স্থির হয়ে জমে যায়, যার কারণে পানিতে রোগ বাড়তে থাকে।

প্রশ্ন- জল দূষণ রচনা কি?

উত্তরঃ যখন মানুষের জীবনের জন্য ব্যবহৃত পানিতে বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ মিশে তা নষ্ট করে বা পানীয় জলকে নোংরা করে তখন তাকে পানি দূষণ বলে। পানি দূষণ আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

প্রশ্ন- পানি দূষণ কিভাবে হয়?

উত্তর: পানি দূষণের প্রধান দুটি কারণ রয়েছে, প্রথমটি প্রাকৃতিক কারণ এবং দ্বিতীয়টি মানবিক কারণ। এ ছাড়া পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হওয়ার কারণেও পানি দূষণ হয়।

প্রশ্ন- পানি দূষণ কী?পানি দূষণের কারণে কী কী ক্ষতি হয়?

উত্তর- শুধু মানুষ নয়, প্রাণীরাও পানি দূষণে আক্রান্ত হয়। দূষিত পানি পানীয় বা কৃষি ও শিল্পের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে হ্রদ ও নদীর সৌন্দর্যও কমে যায়।

প্রশ্ন- পানি দূষণের উৎসগুলো কী কী?

উত্তর: বিষাক্ত পদার্থ, খনিজ পদার্থ, উদ্ভিদের পাতা, হিউমাস পদার্থ, মানুষ ও প্রাণীর মলমূত্র ও প্রস্রাব ইত্যাদি পানি দূষণের প্রধান উৎস।

প্রশ্ন- পানি দূষণ কী?প্রতিরোধের ব্যবস্থা লেখ?

উত্তর: পানি দূষণ এড়াতে আমাদের ড্রেন, কূপ, পুকুর ও নদী সময় সময় পরিষ্কার করা উচিত এবং সেগুলোকে দূষিত করা উচিত নয়। এ ছাড়া পানি দূষণ সংক্রান্ত সকল আইন মেনে চলতে হবে।

প্রশ্নঃ পানি দূষণ কি?পানি দূষণের চারটি কারণ বলো?

উত্তর: প্রতিদিনের গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত পদার্থ যেমন রান্না, গোসল, কাপড় ধোয়া, পরিষ্কার করা ইত্যাদি ড্রেনের মাধ্যমে নদীতে মিশে যা পানি দূষণের কারণ হয়।

প্রশ্ন- পানি দূষণের কারণে কোন রোগ হয়?

উত্তর- পানি দূষণের কারণে আমরা সাধারণত লুজ মোশন, ডায়রিয়া, আমাশয়, বমি ইত্যাদি অনেক গুরুতর রোগে আক্রান্ত হই।

প্রশ্ন: নদী দূষিত হয় কেন?

উত্তর: মানুষ যখন আবর্জনা, বর্জ্য পদার্থ, কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি নদীতে ফেলে, তখন নদীতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি দূষণ হয় গঙ্গা নদীতে। 

তাই  এটি ছিল জল দূষণের উপর রচনা, আমি আশা করি আপনি  জল দূষণের উপর লেখা প্রবন্ধটি পছন্দ করেছেন (রচনা জল দূষণ) ।  আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Trending Post

রেলের প্রশ্ন: রেলওয়ে প্রশ্ন ও উত্তর: Railway Group D GK Question in Bengali

ইনকাম সার্টিফিকেট এর দরখাস্ত পঞ্চায়েত: উদাহরণসহ

income certificate application letter in bengali

ব্লক লেটার কিভাবে লেখে

অপিনিহিতি কাকে বলে.

স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি?

ক থেকে ঁ পর্যন্ত

বর্ণ কাকে বলে?

কীভাবে একটি হার্ডওয়্যার স্টোর শুরু করবেন (Hardware Store Business Plan In bengali)

সংগ্রহশালা ইতিহাস.

© KaliKolom | All rights reserved

About Us | Contact Us | Disclaimer | Privacy Policy | Terms & Conditions

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা । Water Pollution Essay in Bengali

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা । Water Pollution Essay in Bengali : জল দূষণ আজকের প্রেক্ষাপটে পরিবেশগত উদ্বেগের একটি বিষয়। জল একটি বিরল সম্পদ, যা পৃথিবীতে জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি শুধুমাত্র জলই অপরিহার্য নয়, এটি অবশ্যই পরিষ্কার এবং ব্যবহার করা নিরাপদ।

• NAAC Full Form in Bengali
• Chander Gari Lyrics

দূষিত ও দূষিত জল কোনো কিছুর জন্যই ভালো এবং ব্যবহার বা খাওয়ার জন্যও বিপজ্জনক। জলর প্রধান কারণ হল মানব-প্ররোচিত এবং শিল্পায়ন, কৃষি কার্যক্রম, অনুপযুক্ত বর্জ্য নিষ্পত্তি ইত্যাদির মতো কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত।

Table of Contents

আপনার জ্ঞান এবং তথ্যের জন্য আমরা নীচে জল দূষণের উপর সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ প্রবন্ধ সরবরাহ করেছি। প্রবন্ধগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে, আপনি জল দূষণ কী এবং এর প্রধান কারণগুলি কী তা জানতে পারবেন; কিভাবে জল দূষণ বন্ধ করতে; জল দূষণ প্রতিরোধ ইত্যাদি।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 1 (100 শব্দ)

জল দূষণ বলতে বিভিন্ন মানবিক ক্রিয়াকলাপ বা প্রাকৃতিক কারণে জলাশয় এবং জলের ভূগর্ভস্থ সম্পদের দূষণকে বোঝায়। নগরায়ণ, শিল্পায়ন, বন উজাড়, বর্জ্য অপসারণ, ল্যান্ডফিল ইত্যাদির মতো মানবিক কর্মকাণ্ড জল দূষণের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী।

জল দূষণের জন্য দায়ী কিছু প্রাকৃতিক কারণ হল আগ্নেয়গিরি এবং বন্যার ধ্বংসাবশেষ। জল দূষণের আরেকটি প্রাকৃতিক কারণ হল শেওলা ফুল। “শেত্তলা” শব্দটি সালোকসংশ্লেষণকারী জীবের একটি বৃহৎ এবং বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। শৈবাল প্রস্ফুটিত মানে জলাশয়ে শেত্তলাগুলির জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ফলস্বরূপ এর বিবর্ণতা এবং দূষণ।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 2 (150 শব্দ)

“জল দূষণ” শব্দটি ব্যবহার করা হয় যখন একটি নদী, হ্রদ, মহাসাগর, ইত্যাদির মতো জলাশয় মানুষের কার্যকলাপ বা প্রাকৃতিক কারণে দূষিত হয়। আজ, জল দূষণ একটি প্রধান পরিবেশগত উদ্বেগ হয়ে উঠেছে এবং দায়িত্বের সাথে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

গ্রহে তাজা জল খুবই দুষ্প্রাপ্য এবং দূষণ এটিকে আরও দুষ্প্রাপ্য করে তুলছে। প্রতি বছর আমরা শিল্প ও অন্যান্য ধরনের দূষণের কারণে লক্ষ লক্ষ লিটার মিঠা জল হারাই। দূষণকারীগুলি দৃশ্যমান ছোট এবং বড় আবর্জনার পাশাপাশি অদৃশ্য, ক্ষতিকারক এবং বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি নিয়ে গঠিত।

• আমার প্রিয় বন্ধু রচনা

দৃশ্যমান অমেধ্যগুলি ম্যানুয়াল পরিস্কার বা পরিস্রাবণের মাধ্যমে জলের শরীর থেকে সহজেই অপসারণ করা যেতে পারে, তবে রাসায়নিক দূষণকারীগুলি আরও বিপজ্জনক এবং অপসারণ করা কঠিন। রাসায়নিক পদার্থ জলতে মিশে যায় এবং এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে, এটি ব্যবহারের জন্য ক্ষতিকর এবং জীবন-হুমকির সৃষ্টি করে।

শুধুমাত্র আন্তরিক ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা জল দূষণের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারি এবং ভবিষ্যতে ভয়াবহ জল সংকট রোধ করতে পারি।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 3 (200 শব্দ)

জল দূষণ পরিবেশগত উদ্বেগের পাশাপাশি সমস্ত জীবিত প্রজাতির জীবন ও স্বাস্থ্যের বিষয়। 7.8 বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য প্রতি বছর 82 মিলিয়ন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের কাছে খুব কম মিষ্টি জল রয়েছে।

পৃথিবীতে উপলব্ধ সমস্ত জলের মাত্র 2.5% মিঠা জল যা আমরা আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহার করি। কিন্তু, সীমানা প্রসারিত করার এবং বাণিজ্যিক উপায়গুলি অন্বেষণ করার মানুষের আকাঙ্ক্ষা আমাদের মিঠা জলর সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যা তাদের আগের মতো দূষিত করে তুলেছে।

অনেক শিল্প জলাশয়ের কাছাকাছি স্থাপিত হয় এবং কাছাকাছি জলাশয়ে শিল্প বর্জ্য বহন করার জন্য মিষ্টি জল ব্যবহার করে। এই শিল্প বর্জ্য প্রকৃতিতে বিষাক্ত এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। দূষিত জলাশয়ের আশেপাশের জনবসতিগুলিতে লোকেরা গুরুতর ত্বক, শ্বাসকষ্ট এবং কখনও কখনও এমনকি প্রাণঘাতী অন্যান্য অসুস্থতায় ভুগছে বলে দেখা যায়।

অন্যান্য জল দূষণের প্রধান কারণ হল শহুরে বর্জ্য এবং পয়ঃনিষ্কাশন। প্লাস্টিক, কাঠ, রাসায়নিক পদার্থ এবং অন্যান্য যৌগ সমন্বিত প্রতিটি পরিবার বার্ষিক টন বর্জ্য উৎপন্ন করে। একটি সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে, এই বর্জ্য নদী, হ্রদ, স্রোতের মতো আমাদের জলাশয়ে পৌঁছে তাদের দূষিত করে। আমরা যদি পৃথিবীকে সবুজ, সুস্থ ও প্রাণে পরিপূর্ণ করতে চাই তবে জল দূষণ রোধ করতে হবে।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 4 (250 শব্দ)

জল পৃথিবীতে জীবনের জন্য একটি অপরিহার্য সম্পদ। জল ছাড়া, বা আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, পরিষ্কার এবং নিরাপদ জল ছাড়া, পৃথিবীতে জীবন অকল্পনীয় হবে। আপনি ভাবতে পারেন যে আমাদের কাছে এখনও প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে যা পৃথিবীর মোট আয়তনের 97.5% গঠন করে। তবে, একটি ধরা আছে – যে 97.5% লবণ জল যা প্রধানত মহাসাগরে পাওয়া যায়; যে জল আমরা আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহার করি না।

অবশিষ্ট শতাংশ, অর্থাৎ মাত্র 2.5% আমরা যা ব্যবহার করি তা মিঠা জল। তদুপরি, সেই 2.5% এর মাত্র 0.3% পৃথিবীর পৃষ্ঠে পাওয়া জল। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, পৃথিবীতে জলর মোট আয়তন হল 1,386,000,000 Km3, যার মধ্যে মাত্র 10,633,450 Km3 মিঠা জল। 2019 সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত 7.8 বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য খুব কম স্বাদু জল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং প্রতি বছর 82 মিলিয়ন লোক সেই সংখ্যায় যুক্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, বিশ্ব জনসংখ্যার দ্বারা ব্যবহৃত স্বাদু জলর পরিমাণ শত শত বছর লেগেছে এবং এইভাবে এটিকে কোনো মূল্যে দূষিত করা সম্ভব নয়।

জলর দূষণ যদি আজকের মতো চলতে থাকে, তাহলে দু-এক দশকের মধ্যে আমরা জলর তীব্র সংকটের মুখোমুখি হতে পারি। তাহলে আমরা যা করেছি তার জন্য অনুশোচনা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। এখনও সময় আছে এবং আমরা আজ ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যেতে পারে। এটি একটি ব্যক্তিগত কাজ হোক বা একটি সমষ্টিগত, জল সংরক্ষণ এবং এর দূষণ রোধ করার একটি পদক্ষেপ আজকের প্রয়োজন।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 5 (300 শব্দ)

জল দূষণ ঘটে যখন বাইরের দূষণকারীরা অন্যথায় পরিষ্কার এবং নিরাপদ প্রাকৃতিক জলের সম্পদে প্রবেশ করে। ক্রমবর্ধমান মানুষের হস্তক্ষেপ এবং নগর বসতি সম্প্রসারণের কারণে, জল দূষণ আজ একটি বেদনাদায়ক বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

জল দূষণ উত্স

জল দূষণের উৎস অনেক এবং প্রায় সবই মানুষের ক্রিয়াকলাপের কারণে উত্পন্ন হয়। শিল্পগুলি লক্ষ লক্ষ গ্যালন বিষাক্ত ধোঁয়া এবং বস্তুগত বর্জ্য নির্গত করে যা সরাসরি বায়ু, জলাশয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ফেলে দেওয়া হয়। শিল্প-কারখানার এ ধরনের বর্জ্যের অধিকাংশই কোনো প্রকার শোধন ছাড়াই সরাসরি জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ শিল্প বর্জ্য প্রকৃতিতে বিষাক্ত এবং ফলস্বরূপ, এটি পৌঁছানো জলের বিষাক্ততা বাড়ায়।

এছাড়াও, সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ পরিবারে প্রতিদিন যে গৃহস্থালি বর্জ্য তৈরি হয় তাতে প্লাস্টিক সামগ্রী, রাসায়নিক, তেল, ধাতু ইত্যাদি বর্জ্য রয়েছে৷ বেশিরভাগ পরিবারেরই সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব রয়েছে এবং বেশিরভাগ বর্জ্য সরাসরি জলে ফেলা হয়৷ পরিবেশ

কিভাবে জল দূষণ বন্ধ করা যায়

জল দূষণের কারণ এবং জীবন ও গ্রহের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। জনগণকে অবশ্যই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিতে হবে যেখানে একটি দল বা সম্প্রদায় প্রতি সপ্তাহান্তে বা মাসে অন্তত একবার জলাশয় পরিষ্কার করার কাজটি গ্রহণ করে।

তাছাড়া জল দূষণ দূর করার লক্ষ্যে কঠোর আইন প্রণয়ন ও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। কঠোর মনিটরিং মানুষ এবং সংস্থাগুলিকে দূষণ থেকে রোধ করতে পারে এবং জবাবদিহিতাও উন্নত করবে।

জল দূষণ আজ পরিবেশবাদী এবং বিজ্ঞানীদের জন্য গরম বিতর্ক এবং উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। এটি পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত প্রজাতির ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জল বেঁচে থাকার জন্য একটি অপরিহার্য পণ্য এই সত্য যে পৃথিবীতে জলের মাত্র 2% তাজা জল যা আমরা ব্যবহার করি। আমরা এটিকে আরও দূষিত করার সামর্থ্য রাখতে পারি না এবং আমরা ইতিমধ্যে যে ক্ষতি করেছি তার বিপরীতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 6 (350 শব্দ)

জল দূষণ বলতে আমাদের জলাশয়ে দূষণকারী পদার্থের প্রবেশকে বোঝায়। এই দূষকগুলি প্রাথমিকভাবে মানব-প্ররোচিত কার্যকলাপ দ্বারা উত্পন্ন হয় এবং আমাদের প্রাকৃতিক জল সম্পদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

জল দূষণ প্রতিরোধ

জল দূষণ রোধ করার জন্য আপনি কিছু করতে পারেন। তাদের মধ্যে কিছু একজন ব্যক্তির দ্বারা নেওয়া যথেষ্ট সহজ এবং কিছুর জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তবে আমাদের প্রাকৃতিক জলসম্পদ সংরক্ষণের জন্য বারবার প্রচেষ্টা করা দরকার। জল দূষণ রোধে কিছু কার্যকরী উপায় নিচে দেওয়া হল-

1) আপনার ড্রেন দূষিত এবং রাসায়নিক মুক্ত রাখুন।

একটি গড় পরিবার রাসায়নিক, নিষ্পত্তিকৃত ওষুধ এবং অন্যান্য বিপজ্জনক যৌগ সহ সমস্ত ধরণের বর্জ্য তৈরি করে। আমাদের বাড়ির বর্জ্য নিষ্পত্তি করার সময় আমাদের অবশ্যই যত্ন নিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে এই জাতীয় বর্জ্য পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় না পৌঁছায়।

2) পলিথিনের ব্যবহার রোধ করুন

বর্তমানে প্রতিটি বাড়িতে পলিথিন ব্যাগ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এগুলি হালকা, ভারী ওজন বহন করতে পারে এবং সঞ্চয় করা সহজ। কিন্তু পলিথিন ব্যাগ জল সম্পদের জন্য বড় হুমকি। আমরা যে পলিথিন আমাদের ঘরবাড়ি ফেলে রাখি, তা জলাশয়ে প্রবেশ করে। নন-বায়োডিগ্রেডেবল হওয়ায়, এটি সেখানে পড়ে থাকে, জলকে দূষিত করে এবং এটিকে বিষাক্ত করে তোলে।

3) জল সংরক্ষণ করুন

আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম করার সময় সর্বদা জল সংরক্ষণের চেষ্টা করুন, তা রান্না করা, শেভিং, গোসল করা, বাগান করা বা পরিষ্কার করা ইত্যাদি। আপনার বাড়ি এবং এলাকার সমস্ত ত্রুটিপূর্ণ ট্যাপ মেরামত করেও জল সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

4) পুনঃব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার করুন

আমরা বাড়িতে যে বর্জ্য তৈরি করি তার বেশিরভাগই পুনঃব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার করা যেতে পারে যদি আমরা এর জন্য একটু চেষ্টা করি। অটোমোবাইল তেলের মতো বর্জ্য ড্রেনে ফেলা হয় এবং সহজেই নদী ও স্রোতে পৌঁছায়। এটি জলর বিশুদ্ধতা এবং জলতে বসবাসকারী জীবের জীবনের জন্য সত্যিই বিপজ্জনক। অন্যদিকে, অটোমোবাইল তেল অন্যান্য তৈলাক্তকরণ উদ্দেশ্যে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

জল দূষণ আজ মানব স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জল একটি অপরিহার্য পণ্য যা ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। গ্রহের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য জলকে দূষণমুক্ত রাখা এবং সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা সকলের কর্তব্য।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 7 (400 শব্দ)

জল দূষণ বলতে নদী, হ্রদ, পুকুর এবং মহাসাগরের মতো জলাশয়ের দূষণকে বোঝায়। শিল্পায়ন, শহুরে বর্জ্য, আবর্জনা ইত্যাদির মতো মানব ক্রিয়াকলাপের দ্বারা সৃষ্ট দূষণকারীরা যখন আমাদের জলাশয়ে প্রবেশ করে এবং তাদের দূষিত করে তখন এটি ঘটে।

জল দূষণের প্রকারভেদ

যেহেতু জল অনেক উৎস থেকে আসে, অনেক ধরনের জল দূষণ রয়েছে। জল দূষণের সবচেয়ে সাধারণ প্রকারগুলি নীচে বর্ণিত হয়েছে।

1) কৃষি/পুষ্টি দূষণ

কিছু বর্জ্য জল এবং কৃষি বর্জ্যে উচ্চ পুষ্টির মাত্রা থাকে। এই পুষ্টিসমৃদ্ধ দূষিত পদার্থগুলি শৈবালের বৃদ্ধি ঘটায়, যা জলকে পানীয় এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে অনুপযুক্ত করে তোলে। শেত্তলাগুলি জলে অক্সিজেনের উপাদান ব্যবহার করে অন্যান্য জীবের জন্য অক্সিজেনের অভাব তৈরি করে, ফলে তাদের মৃত্যু হয়।

2) পয়ঃনিষ্কাশন এবং বর্জ্য জল

শহুরে জনবসতি থেকে পয়ঃনিষ্কাশন এবং বর্জ্য জল বিভিন্ন দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় অপরিষ্কার যেমন পারদ, প্লাস্টিক, পচা খাদ্য, ধ্বংসাবশেষ, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ। যখন এই দূষকগুলি জলাশয়ে পৌঁছায়, তখন তাদের কিছু ভূপৃষ্ঠের উপরে ভেসে যায় এবং কিছু নীচে ডুবে যায়। . দ্রবণীয় অমেধ্য জলর গঠনও পরিবর্তন করে। জলাশয়ের সমস্ত জীবন্ত প্রাণীর জন্য এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি।

3) অক্সিজেন হ্রাস

যে কোনো জলাশয়ে অ্যারোবিক এবং অ্যানারোবিক জীব সহ বেশ কয়েকটি অণুজীব থাকে। যখন বায়োডেগ্রেডেবল বর্জ্য জলাশয়ে পৌঁছায় এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তখন এটি আরও অণুজীবের বৃদ্ধিকে উত্সাহিত করে, ফলস্বরূপ আরও অক্সিজেন ব্যবহার করে, অক্সিজেনের স্তরকে হ্রাস করে।

4) ভূগর্ভস্থ জলের দূষণ

রাসায়নিক কীটনাশক ও সার ব্যবহার ভূগর্ভস্থ জলর সম্পদকে দূষিত করে। রাসায়নিকগুলি মাটির সাথে মিশে যায় এবং বৃষ্টির সাথে মাটিতে ভিজে যায়, ভূগর্ভস্থ জলের রিজার্ভে পৌঁছায়। এই দূষিত জল আমাদের কূপ এবং জলের অন্যান্য উত্সগুলিতে পৌঁছায়, এর ব্যবহার ক্ষতিকারক করে তোলে।

এই সহজ পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করে জল দূষণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে –

• আপনার রান্নাঘরের সিঙ্কে চর্বি বা তেল ঢেলে দেবেন না।
• ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থের অনুপযুক্ত নিষ্পত্তি এড়িয়ে চলুন।
• অব্যবহৃত বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কখনই বাড়ির ড্রেনেজ সিস্টেমে পৌঁছাতে দেবেন না।
• বর্জ্যকে কঠিন, তরল, অবক্ষয়যোগ্য এবং অ-ক্ষয়যোগ্য হিসাবে আলাদা করুন এবং এর যথাযথ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করুন।
• যতটা সম্ভব কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

জল দূষণ একটি ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত উদ্বেগ যা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদগুলির মধ্যে একটিকে হ্রাস করে। প্রবল দৃঢ় সংকল্প এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমেই আমরা জলকে দূষিত হওয়া থেকে বাঁচাতে সফল হতে পারি।

জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা 8 (500 শব্দ)

জল দূষণ বলতে জলাশয়ের দূষণকে বোঝায়, প্রাথমিকভাবে মানুষের কার্যকলাপের কারণে। জলাশয়ের মধ্যে রয়েছে হ্রদ, নদী, পুকুর, মহাসাগর এবং ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ। জল দূষণ ঘটে যখন শিল্প এবং অন্যান্য উত্স থেকে বর্জ্য জলাশয়ে প্রবেশ করে, যার ফলে জল দূষিত হয়, উপরন্তু, এটি জলজ জীবনের পাশাপাশি মানুষের জন্যও ক্ষতিকারক।

জল দূষণের কারণ

জল একটি অপরিহার্য প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পৃথিবীতে জীবনের জন্য খুব দরকারী। জল দূষণের কারণ অনেক এবং সর্বদা মানুষের কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত। জল দূষণের বিভিন্ন কারণ নিচে দেওয়া হল-

1) শহুরে পয়ঃনিষ্কাশন

শহুরে জনবসতি থেকে আসা পয়ঃনিষ্কাশন সাধারণত রাসায়নিক দিয়ে শোধন করা হয় এবং তারপর মিঠা জলর সাথে মিশে জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ সময়, পয়ঃনিষ্কাশন শোধন না করে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এতে ক্ষতিকারক, ব্যাকটেরিয়া এবং প্যাথোজেন রয়েছে, যা জলজ জীবন এবং মানুষের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর।

2) শিল্প বর্জ্য

শিল্পকারখানাগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত বর্জ্য উৎপন্ন হয়। শিল্প বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে পারদ, সীসা, সালফার, অ্যাসবেস্টস এবং নাইট্রেটের মতো দূষক। এই রাসায়নিকগুলি শুধুমাত্র উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের জন্য ক্ষতিকারক নয় কিন্তু জলকে ব্যবহারের অনুপযোগী করে তোলে। একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার অনুপস্থিতির কারণে, অনেক শিল্প এখনও প্রাকৃতিক জল সম্পদে ক্ষতিকারক বর্জ্য ফেলে দেয়।

3) আবর্জনা ডাম্পিং

সাধারণ গৃহস্থালির আবর্জনার মধ্যে প্লাস্টিক, খাদ্য, কাঠ, কাগজ, রাবার, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি থাকে। এই আবর্জনা সরাসরি সাগর ও নদীতে ফেলা হয় অথবা পরোক্ষভাবে তাদের কাছে পৌঁছায় এবং অবনতি হতে কয়েক বছর থেকে কয়েক শতাব্দী সময় লাগে। উভয় ক্ষেত্রেই, এটি জলাশয়কে দূষিত করে এবং সামুদ্রিক জীবনের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ভূমিতে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে।

4) তেল ছড়ানো

তেল জলতে অদ্রবণীয় এবং ঘনত্বে হালকা হওয়ায় এর ওপর ভেসে ওঠে। যদিও গত কয়েক দশকে তেল ছিটকে পড়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, তবুও তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, 2018 সালে, শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 137 টি তেল ছড়িয়ে পড়েছে। 137টি ছিটানোর মধ্যে, 65টি সর্বাধিক সম্ভাব্য ছিটকে রিপোর্ট করা হয়েছে, যা জলতে গ্যালন তেল ছেড়ে দেয়।

5) ল্যান্ডফিলস লিকেজ

ল্যান্ডফিলগুলি হল আবর্জনার বিশাল স্তূপ যা সাধারণত একটি শহর বা শহুরে জনবসতির উপকণ্ঠে পাওয়া যায়। ল্যান্ডফিল থেকে আবর্জনা বৃষ্টির সাথে জলাশয়ে পড়ে বা বাতাসের সাথে পৌঁছায়, ফলে তাদের দূষিত হয়। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জলজ জীবনের জন্য ক্ষতিকারক বেশ কয়েকটি দূষক রয়েছে।

জল দূষণের প্রভাব

জল দূষণের সবচেয়ে তাৎক্ষণিক প্রভাব জলতে বসবাসকারী জীবের ওপর পড়ে। তদুপরি, এটি আশেপাশের গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষের জন্যও ক্ষতিকারক যারা কোনও না কোনও আকারে জল ব্যবহার করে বা সেবন করে।

রাসায়নিক দূষণকারী এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিকর কারণ এগুলি শারীরিকভাবে আলাদা করা এবং জলের বৈশিষ্ট্যগুলিকে পরিবর্তন করা কঠিন। এগুলি জলের সাথে মিশে এর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে পরিবর্তন করে, এটি খাওয়া বা ব্যবহারের জন্য ক্ষতিকারক করে তোলে।

দূষিত জলর ব্যবহার মানুষের মধ্যে বেশ কিছু গুরুতর রোগ সৃষ্টি করে যেমন – ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি এবং জীবন-হুমকি হতে পারে।

জল দূষণ আজ একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছে যা গ্রহ এবং এর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বিগ্ন। জল একটি খুব দরকারী সম্পদ, যা মানুষ এবং প্রাণীদের একইভাবে পানীয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়। যদি ইতিমধ্যেই দুষ্প্রাপ্য স্বাদের জলকে দূষিত করা হয় তবে গ্রহে জীবনের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। পৃথিবীতে জীবন বাঁচাতে হলে প্রথমেই আমাদের জলাশয় পরিষ্কার রেখে জল সংরক্ষণ করতে হবে।

আশা করি জল দূষণ প্রবন্ধ রচনা । Water Pollution Essay in Bengali   এই নিবন্ধটি আপনার পছন্দ হয়েছে, যদি আপনি এই তথ্যগুলি পছন্দ করেন তবে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন।

Related Posts:

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

• Privacey-polcy

জল দূষণ(water pollution)

জল দূষণ (water pollution) .

প্রধান জল দূষণ কারী পদার্থ সমূহ প্রধান (Water Pollutants)

জল দূষণের উৎস (source of water pollution), 1. শিল্প ও কারখানা  , 2. গৃহস্থলীর আবর্জনা.

Also read :দূষণের কারণ ও ফলাফল (What is causes and effect of Pollution)?

3. কৃষিক্ষেত্র থেকে জলদূষন

জল দূষণ(water pollution) , জল   দূষণ  PDF,  জল   দূষণ   প্রজেক্ট  PDF   , PDF Download water pollution project in bengali.

4. তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে জল দূষণ

5. খনিজ তেল থেকে জল দূষণ, 6. তাপীয় দূষণ, 7. বায়ুদূষণের কারণে জল দূষণ.

Also Read : বায়ু দূষণের কারন(Causes of Air Pollution)

8. আর্সেনিক দূষণ

জল দূষণের প্রভাব

1. দূষিত জল পান করলে ও প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহার এর বিভিন্ন রকম সংক্রামক রোগ ঘটতে থাকে যেমন, 2. অজৈব রাসায়নিক পদার্থের জন্য যে যে রোগ হয় সেগুলি হল .

জল দূষণ(water pollution) , জল   দূষণ  PDF,  জল   দূষণ   প্রজেক্ট  pdf   , PDF Download water pollution project in bengali.

3. ইউট্রিফিকেশন

4. কৃষি ক্ষেত্রের প্রভাব, নগরায়ন , শিল্পায়ন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে   আর   জলের লাগামহীন অপচয় দূষণমুক্ত জলের সীমিত ভান্ডার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে এই অবস্থায় জলের   সঠিক ব্যবহার সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী । নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করলে সম্ভব হবে -, জল দূষণ(water pollution)  নিয়ন্ত্রণের উপায়, ১/ আইন প্রণয়ন ও বলবৎ , ২/ প্রযুক্তিগত উপায়, ৩/ কাপড় কাচা , সাবান মাখা ও স্নান.

Also read : Cause and Effect of pollution

৪/ উষ্ণ জল শীতলীকরণ -

৫/ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার  , ৬/ বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, post টি পড়ার জন্য আপনাকে  ধন্যবাদ । post টি যদি ভালো লেগে থাকলে comment & share করার অনুরোধ রইল।, ৩০টি মন্তব্য:.

Good post...

[…] Also read: জল দূষণের কারন কী? […]

[…] read: জল দূষণের কারন কী?  বায়ু দূষণের কারন ও ফলাফল।দূষণের […]

[…] Also Read : জল দূষণের কারন কী? […]

[…] READ :   বায়ু দূষণের কারন ও […]

Hi ismatara khatun thanks

[…] WATER POLLUTION […]

[…] জল দূষণ(WATER POLLUTION) […]

[…] ALSO READ :- WATER POLLUTION […]

BODএবংCOD কী

সুন্দর মাধুর্য ভাষায় লেখা হয়েছে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ।

জলদূষের ফলে পরিবেশের প্রানী ও উদ্ভিদের উপর প্রভাব?

Thanks for this

Recent Post

Popular posts.

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Home - pagenavi (show/hide).

• Engineering
• Write For Us
• Privacy Policy

Essay on Water

Here we have shared the Essay on Water in detail so you can use it in your exam or assignment of 150, 250, 400, 500, or 1000 words.

You can use this Essay on Water in any assignment or project whether you are in school (class 10th or 12th), college, or preparing for answer writing in competitive exams. 

Topics covered in this article.

Essay on Water in 150-250 words

Essay on water in 300-400 words, essay on water in 500-1000 words.

Water is a vital resource that sustains all forms of life on Earth. It covers about 70% of the planet’s surface, and its availability is essential for various human activities, ecosystems, and agriculture.

Water plays a crucial role in maintaining the balance of nature. It supports biodiversity, provides habitat for aquatic species, and ensures the survival of ecosystems. Additionally, water is essential for agriculture, enabling the growth of crops and the sustenance of livestock.

However, water scarcity and pollution have become significant challenges. Rapid population growth, industrialization, and climate change have put immense pressure on water resources. Many regions face water shortages, leading to social, economic, and environmental consequences.

Water pollution is another critical issue. Industrial discharge, agricultural runoff, and improper waste disposal contaminate water bodies, affecting both human health and aquatic life. It is crucial to implement sustainable water management practices, promote conservation efforts, and invest in water treatment infrastructure.

Education and awareness are key in fostering responsible water use. Individuals can contribute by conserving water, practicing efficient irrigation methods, and avoiding the contamination of water sources.

In conclusion, water is a precious resource that sustains life and ecosystems. The challenges of water scarcity and pollution require collective action to ensure its availability and quality. By implementing sustainable practices, promoting conservation, and raising awareness, we can protect and preserve this invaluable resource for future generations.

Water is a fundamental resource that is essential for all forms of life on Earth. It covers approximately 70% of the planet’s surface, playing a crucial role in supporting ecosystems, agriculture, and human activities.

Water is vital for the survival of living organisms and the maintenance of ecological balance. It provides habitat for a wide range of plants and animals, supporting biodiversity and contributing to the overall health of ecosystems. Water bodies, such as rivers, lakes, and oceans, serve as crucial habitats and breeding grounds for numerous species.

In agriculture, water is essential for crop irrigation and livestock sustenance. Farmers rely on water to nourish their crops and ensure food production. Additionally, water plays a critical role in the transport of nutrients within plants, enabling their growth and development.

Water is also crucial for human activities and economic development. It is used in households for drinking, cooking, and sanitation purposes. Industries depend on water for manufacturing processes, cooling systems, and energy production. Furthermore, water serves as a transportation medium for goods and people, facilitating trade and commerce.

However, the availability and quality of water face significant challenges. Rapid population growth, urbanization, and climate change exert pressure on water resources. Many regions around the world experience water scarcity, leading to social, economic, and environmental implications. The unequal distribution of water resources exacerbates these challenges, with some areas facing severe water shortages.

Water pollution is another pressing issue. Industrial discharge, agricultural runoff, and improper waste disposal contaminate water bodies, negatively impacting aquatic ecosystems and human health. Waterborne diseases and the degradation of aquatic habitats are direct consequences of water pollution.

Addressing these challenges requires sustainable water management practices. Conservation efforts, such as rainwater harvesting and efficient irrigation techniques, can help preserve water resources. Investment in water treatment infrastructure is crucial to ensure the provision of clean and safe drinking water to communities. Moreover, raising awareness about water conservation and pollution prevention is vital in fostering responsible water use among individuals and industries.

In conclusion, water is a precious resource that sustains life, ecosystems, and human activities. The challenges of water scarcity and pollution necessitate collective action and sustainable water management practices. By valuing water, implementing conservation measures, and raising awareness about responsible water use, we can ensure the availability and quality of water for future generations.

Title: Water – The Essence of Life

Introduction :

Water is the elixir of life, a precious resource that is vital for the existence of all living organisms on Earth. Covering about 70% of the planet’s surface, water is found in oceans, rivers, lakes, and underground reservoirs. It plays a fundamental role in sustaining ecosystems, supporting agriculture, meeting human needs, and shaping the landscape. This essay explores the significance of water, its diverse uses, the challenges it faces, and the importance of responsible water management for the well-being of our planet and future generations.

Importance of Water

Water is essential for the survival and well-being of all living organisms. It serves as a universal solvent, enabling chemical reactions that are crucial for life processes. Water is involved in cellular functions, temperature regulation, nutrient transportation, and waste removal in living systems. In addition to its biological importance, water also plays a critical role in maintaining ecological balance. It provides habitats for countless species, supports biodiversity, and influences the functioning of ecosystems.

Water for Agriculture

Agriculture is heavily dependent on water for crop cultivation and livestock sustenance. Irrigation systems deliver water to fields, ensuring the growth and productivity of crops. Water is essential for germination, photosynthesis, and the transport of nutrients within plants. Livestock farming relies on water for drinking, cleaning, and maintaining proper hygiene conditions. Adequate water supplies are essential for the health and well-being of both plants and animals in agriculture.

Water for Human Needs

Water plays a vital role in meeting various human needs. Access to clean and safe drinking water is crucial for maintaining human health and preventing waterborne diseases. Water is used for cooking, food preparation, and sanitation, ensuring proper nutrition and hygiene. Adequate sanitation facilities, including toilets and wastewater treatment systems, rely on water to prevent the spread of diseases and maintain public health. Moreover, water is used in industries for manufacturing processes, cooling systems, and energy production.

Challenges of Water Scarcity

Water scarcity is a pressing global challenge, particularly in regions facing population growth, urbanization, and climate change. Unequal distribution, overexploitation of water resources, and inefficient water management contribute to the scarcity of water. This scarcity can lead to social, economic, and environmental consequences. Reduced water availability hampers agricultural productivity, jeopardizes livelihoods, and triggers conflicts over water rights. Addressing water scarcity requires sustainable water management practices, water conservation efforts, and investments in water infrastructure.

Water Pollution and Conservation

Water pollution poses a significant threat to water resources and ecosystems. Industrial discharge, agricultural runoff, improper waste disposal, and the use of chemicals contaminate water bodies, compromising water quality. This pollution has detrimental effects on aquatic life, threatens biodiversity, and poses health risks to humans. Waterborne diseases, such as cholera and dysentery, are direct consequences of water pollution. To combat water pollution, stringent regulations must be implemented to control industrial and agricultural activities that contribute to pollution. Proper wastewater treatment systems and waste management practices are essential to preserve water quality.

Water conservation plays a pivotal role in ensuring sustainable water use. Rainwater harvesting, efficient irrigation techniques, and public awareness campaigns promote responsible water consumption. Governments, communities, and individuals must work together to reduce water wastage, encourage water reuse, and protect water sources from pollution.

Conclusion :

Water is a precious and finite resource that is vital for all forms of life on Earth. Its significance extends beyond meeting basic needs and supporting ecosystems; water plays a critical role in shaping our planet. The challenges of water scarcity and pollution necessitate collective action and responsible water management practices. By valuing water, promoting conservation efforts, and raising awareness about responsible water use, we can ensure the availability and quality of water for future generations. It is our collective responsibility to protect and preserve this invaluable resource, safeguarding the well-being of our planet and all its inhabitants.

Related Articles More From Author

What is pharmacognosy, essay on community service, essay on plagiarism.

Talk to our experts

1800-120-456-456

• Water Scarcity Essay

Essay on Water Scarcity

Water is the basic necessity of every human being, but water scarcity is a major issue that is rising very rapidly in India nowadays. The problem has become so severe that in many states the groundwater has almost dried up and people have to depend on water supply from other sources. In addition, water is one of the most misused natural resources that we still waste. It is the central point of our lives but unfortunately, not our priority concern. 

Earlier, people understood the value of water and planned their lives around it. Moreover, many civilizations were born and lost around water, but today, in spite of having knowledge, we still fail to understand the value of water in our lives. 

Reasons for Water Scarcity

Mismanagement of water and the growing population in our country are the two main reasons for water scarcity. There are also a number of other man made disturbances that continue to rise. Besides this, some of the reasons for water scarcity are:  

Wasteful Use of Water for Agriculture  

India, an agricultural country, produces a huge quantity of food to feed its population. The surplus that is left, gets exported outside. 

It is not unknown that producing this much food requires a lot of water too. The traditional method of irrigation wastes a lot of water due to evaporation, water conveyance, drainage, percolation, and the overuse of groundwater. Besides, most of the areas in India use traditional irrigation techniques that stress the availability of water.

However, the technique of irrigation has changed during modern times and we provide water to plants using a sprinkler or drip irrigation.

Reduction in Water Recharges Systems  

Rapid construction that uses concrete and marbles may not let the rainwater get absorbed in the soil, but still, we install some mechanism in our houses so that we can hold the rainwater. Then we can recharge the groundwater.

Lack of Water Management and Distribution

There is a need for an efficient system to manage and distribute the water in urban areas. The Indian government also needs to enhance its technology and investment in water treatment. Besides, we should ensure optimization at the planning level.

Solutions to Overcome this Problem

Close the running tap.

 During dishwashing and hand washing people often let the tap run. These running taps waste thousands of liters of water per year. Therefore, closing the tap will reduce this problem.

Replace Dripping Taps  

In India, it is commonly seen that most of the houses have taps or faucets that go on dripping water even when they are closed. This running tap wastes up to 30,000 liters of water that nobody bothers to change. So, we should replace these taps immediately.

Brief on Water Scarcity  

Water is a basic necessity for every living being.  Life without water is impossible, not just for us humans, but for all plants and animals too. Water scarcity is an issue of grave concern these days as water scarcity has become very common. Water is one of the most wasted natural resources and corrective measures should be taken before the water scarcity situation becomes worse. In spite of being aware of the implications, not much is being done today. 

In India, and across the world, it has been recorded that about half a billion people face a shortage of water for about six months annually. Many well-known cities around the world are facing acute scarcity of water. Many facts and figures are available to know about the water scarcity problem, but what are the reasons for this scarcity? 

With the growing population, the use of water has increased manifold. The lack of more freshwater sources and the increase in population is a major reason for this scarcity. The lack of proper Water management systems and proper drainage systems in India, especially in the urban areas is a major cause too. Kitchen wastewater should be able to be recycled but due to a poor drainage system, this is not possible. An efficient water management system is required in order to distribute water in urban areas.

Another major issue is Deforestation. Areas with more greenery and plants are known to have good rainfall.  Industrialisation and urbanization are two major factors here. Due to Deforestation, and cutting down of trees, rainfall has become an issue too.

Rivers are a major source of fresh water in India. Today we see a lot of industries that have come up and all of them are mostly near the rivers and these rivers become highly polluted as a result of all the industrial waste.

Effect of Global Warming and Climate Change

Global Warming and Climate Change are also responsible for the scarcity of water. The melting of icebergs into the sea due to the rise in temperatures is a reason as to how salty water is increasing day by day instead of freshwater. The percentage of rainfall has decreased drastically these days. Climate change along with the decrease in rainfall percentage has greatly affected freshwater bodies. 

Water scarcity has become a major problem and an alarming issue these days, and we must consciously strive to work together to find some solution to this issue of water scarcity. The Indian government today has formulated and come up with many plans on how to tackle and solve this problem.

To conclude, water scarcity has become an alarming issue day by day. If we do not take the problem of water scarcity seriously now, our future generations are going to suffer severely and may even have to buy this necessity at a high cost.

FAQs on Water Scarcity Essay

1.  What are the reasons for Water Scarcity?

The lack of proper Water Management and proper Drainage system plays a major role. Many other factors and reasons can be held responsible for the scarcity of water. Some of the major reasons are Global Warming and Climate Change; Pollution of the rivers due to industrialization; Deforestation and the cutting down of trees is another reason; Reduced percentage of rainfall due to the climate change pattern; Increase in the population which leads to increase in the use of water.  Learn more about water scarcity on Vedantu website helpful for long-term.

2. What is meant by the scarcity of water?

The scarcity of water means a shortage of water and not being able to manage the demand and supply of water. Water scarcity refers to the lack of freshwater bodies to meet the standard quantity and demand of water. Unequal distribution of water due to factors like Climate Change and Global Warming. Water Scarcity is also due to pollution and lack of rainfall. Water scarcity means a scarcity due to some physical scarcity or scarcity due to the lack of regular supply.

3. What are the two types of water scarcity?

Physical water scarcity is the result of regions' demand outpacing the limited water resources found in that location. According to the Food and Agricultural Organization (FAO) of the United Nations, about 1.2 billion people live in areas of physical scarcity and many of these people live in arid or semi-arid regions. People who are affected by this Physical kind of water scarcity are expected to grow as the population increases and as the weather patterns keep changing as a result of climate change.

Economic water scarcity is due to the lack of proper water infrastructure and a proper water management system or also because of poor management of water resources. The FAO estimates that more than 1.6 billion people face economic water shortages today. Economic water scarcity can also take place because of the unregulated use of water for agriculture and industry.

4.  How can we solve the problem?

Conscious awareness is required to deal with and understand the problem of water scarcity. We can start off by consciously saving water in our homes and surroundings.  Small easy steps like taking care when washing hands, or when working in the kitchen, have to be taken. The running water taps are a major reason for losing hundreds of liters of water on a daily basis. And we should be careful not to waste this water. Conscious decision to save and the need to understand the problem of water scarcity is of utmost importance.

5. How do we waste water?

Water is wasted in ways we do not even realize, in our homes and in our workplaces. When we brush our teeth, when we shave or when we wash the dishes, one of the most common things we do is to keep the water running, especially when running water is available. As soon as we begin cleaning or washing, we do not think of the water that is being wasted. While washing hands, we leave the water tap on, which results in wasting water too. Small things like these should be kept in mind and this could be our small step towards preserving water.

Essay on Water Pollution for Students and Children

500+ words essay on water pollution.

Water is the most important resource for survival on a planet. It is the essence of life on our planet – Earth. Yet if you ever see a river or lake around your city, it would be evident to you that we are facing a very serious problem of Water pollution. Let us educate ourselves about water and water pollution . Two-thirds of the Earth’s surface is covered by water , seventy-six perfect of your body is made up of water.

Water and Water Cycle

As you already know water is everywhere and all around.  However, we have a fixed amount of water on earth. It just changes its states and goes through a cyclic order, known as the Water Cycle. The water cycle is a natural process that is continuous in nature. It is the pattern in which the water from oceans, seas, lakes, etc gets evaporated and turns to vapor. After which it goes through the process of condensation, and finally precipitation when it falls back to earth as rain or snow.

What is Water Pollution?

Water pollution is the contamination of water bodies (like oceans, seas, lakes, rivers, aquifers, and groundwater) usually caused due to human activities. Water pollution is any change, minor or major in the physical, chemical or biological properties of water that eventually leads to a detrimental consequence of any living organism . Drinking water, called Potable Water, is considered safe enough for human and animal consumption.

Sources of Water Pollution

• Domestic Waste
• Industrial effluents
• Insecticides and pesticides
• Detergents and Fertilizers

Some of the water pollutions are caused by direct Sources, such as factories, waste management facilities, refineries, etc, that directly releases waste and dangerous by-products into the nearest water source without treating them. Indirect sources include pollutants that infuse in the water bodies via groundwater or soil or via the atmosphere through acidic rain.

Get the huge list of more than 500 Essay Topics and Ideas

Effects of Pollution of Water

The effects of Water Pollution are:

Diseases: In humans, drinking or consuming polluted water in any way has many disastrous effects on our health. It causes typhoid, cholera, hepatitis and various other diseases.

Eradication of Ecosystem: Ecosystem is extremely dynamic and responds to even small changes in the environment. Increasing water pollution can cause an entire ecosystem to collapse if left unchecked.

Eutrophication: Chemicals accumulation and infusion in a water body, encourages the growth of algae. The algae form a layer on top of the pond or lake. Bacteria feed on this algae and this event decreases the amount of oxygen in the water body, severely affecting the aquatic life there

Effects of the food chain: Turmoil in food chain happens when the aquatic animals (fish, prawns, seahorse, etc) consume the toxins and pollutants in the water,  and then the humans consume them.

Prevention of Water Pollution

The best way to prevent large-scale water pollution is to try and reduce its harmful effects. There are numerous small changes we can make to protect ourselves from a future where water is scarce.

Conserve Water: Conserving water should be our first aim. Water wastage is a major problem globally and we are only now waking up to the issue. Simple small changes made domestically will make a huge difference.

Treatment of sewage: Treating waste products before disposing of it in water bodies helps reduce water pollution on a large scale. Agriculture or other industries can reuse this wastewater by reducing its toxic contents.

Use of environment-friendly products: By using soluble products that do not go on to become pollutants, we can reduce the amount of water pollution caused by a household.

Life is ultimately about choices and so is water pollution. We cannot live with sewage-strewn beaches, contaminated rivers , and fish that are poisonous to drink and eat. To avoid these scenarios,  we can work together to keep the environment clean so the water bodies, plants, animals, and people who depend on it remain healthy. We can take individual or teamed action to help reduce water pollution. As an example, by using environmentally friendly detergents, not pouring oil down the drains, reducing the usage of pesticides, and so on. We can take community action too to keep our rivers and seas cleaner. And we can take action as countries and continents to pass laws against water pollution. Working together, we can make water pollution less of a problem—and the world a better place.

Customize your course in 30 seconds

Which class are you in.

• Travelling Essay
• Picnic Essay
• Our Country Essay
• My Parents Essay
• Essay on Favourite Personality
• Essay on Memorable Day of My Life
• Essay on Knowledge is Power
• Essay on Gurpurab
• Essay on My Favourite Season
• Essay on Types of Sports

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Download the App

Confirm Password *

By registering, you agree to the Terms of Service and Privacy Policy . *

Username or email *

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Bengali Forum

বিভিন্ন বিষয়ের উপর বাংলা রচনা | bengali essay online.

• 16 Questions
• 418 Answers
• 14 Best Answers
• 2,117 Points

বাংলা রচনা:

1. বিজ্ঞান মনস্কতা | Scientific Attitude Essay

2. সমাজসেবা ও ছাত্রসমাজ রচনা | Essay on Social Work and Students

3. সমাজসেবা ও ছাত্রসমাজ রচনা | Essay on Social Work and Students

4. শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা | Role of Mass Media in Education Essay

5. ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় | Prakritik Biporjoy Essay in

6. জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ | Jatiya Sanhati Essay in Bengali or National Integration Essay

7. ক্রিকেট খেলা | Essay on Cricket in Bengali language

8. গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী | Library Essay in Bengali language

9. বাংলাদেশের নদ নদী | Bangladesher Nod Nodi Essay

10. আমার প্রিয় গ্রন্থ । আমার প্রিয় বই | amar priyo grontho essay in bengali

আরও রচনা দেখুন এখানে

You must login to add an answer.

Add Bengali Forum to your Homescreen!

You are using an outdated browser. Please upgrade your browser to improve your experience.

Woke on Water

Do you know your water?

water pollution essay in bengali pdf

water pollution essay in bengali pdf. This essay. Water Pollution. Better Essays. It can occur through natural Essay on Water Pollution.essay on water pollution, পানি দূষণ উপর প্রবন্ধ, , , Translation, human translation, automatic translation.Hi am jayanta i would like to get details on water pollution essay in bengali pdf My friend Justin said water pollution essay in bengali pdf will be available.water pollution, causes and effects PDF, TXT or read online untreated into waters where they pollute the usable water supply.Water Pollution.from air- and water-pollution control measures. Essay on Water Pollution: Types, Causes, Effects and Causes of Surface Water.A Study on Awareness about Arsenic Pollution In Rural west bengal arsenic through drinking water or in lack of awareness regarding arsenic pollution.Water_pollution.pdf. Water pollution essay. High level of contamination by heavy metals, chemicals.PREVENTION AND CONTROL OF POLLUTION environmental media is evident from the deteriorating air and water quality, higher noise levels.Water pollution is a serious problem in India as almost M.N. Essay on Water Pollution: Sources, Effects and Control of Water Pollution! Essay on Water Pollution.

Essay on Water Pollution

Leave a comment cancel reply.

You must be logged in to post a comment.

© Copyright-2024 Allrights Reserved